অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: প্রতিশ্রুতি পূরণে অগ্রগতি কতটুকু?
১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ এএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ এএম
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এখন থেকে ১০০ দিন আগে যাত্রা শুরু করেছিল অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তবর্তী সরকার। গণঅভ্যুত্থানের ঠিক তিন দিনের মাথায় গঠিত সরকারের প্রতি তখন সাধারণ মানুষকে সমর্থন দিতে যেমন দেখা গিয়েছিল, তেমন প্রত্যাশাও ছিল বিপুল।
সরকারের পক্ষ থেকেও আইনশৃঙ্খলা, দ্রব্যমূল্য, অর্থনীতি, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত পরিবর্তন আনাসহ নানান প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু তিন মাস পর এসে সরকারের সেসব প্রতিশ্রুতির মধ্যে অনেকগুলোতেই তেমন কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
“বিশেষত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকার কার্যকর কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি। ব্যর্থ বলার জন্য এই তিন মাস পর্যাপ্ত না হলেও একেবারে কমও নয়,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জোবাইদা নাসরীন।
যদিও উপদেষ্টারা বলছেন, একের পর এক আন্দোলন-বিক্ষোভের মধ্যেও তারা লক্ষ্য অর্জনে সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যার ফল আগামী তিন মাসের মধ্যেই পুরোপুরি দৃশ্যমান হবে।
এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে মাঠে রাখার চিন্তাও জানিয়েছে সরকার।
দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারের পক্ষ থেকে যে বিষয়টির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে দেখা গেছে, সেটি হলো- রাষ্ট্র সংস্কার।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেও প্রতিবার রাষ্ট্র সংস্কারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে দেখা গেছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মহাম্মদ ইউনূসকে।
“জনস্বার্থের বিপরীতমুখী এক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের দেশ পুনর্গঠনের কাজে হাত দিতে হয়েছে। আমরা এখান থেকেই বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন এ দেশে জনগণই সত্যিকার অর্থে সব ক্ষমতার উৎস হয়,” গত ২৫শে অগাস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
সেদিনে ভাষণে তিনি আরও বলেন, “তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষার্থী ও জনতার আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে সফল আমাদের হতেই হবে। এর আর কোনও বিকল্প নেই।”
গণঅভ্যুত্থানের এক মাসের মাথায় সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও জনপ্রশাসন সংস্কারে ছয়টি আলাদা কমিশন গঠন করে সরকার।
পরবর্তীতে এই তালিকায় নতুন আরও চারটি কমিশন যুক্ত করা হয়। সেগুলো হলো: স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, শ্রমিক অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন।
দশখাতের কোনটিতে কী ধরনের সংস্কার হওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে কমিশনগুলো। আগামী ডিসেম্বরের শেষে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যশোরে মণিহার সিনেপ্লেক্সএর উদ্বোধন
বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়ছে
কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মালকম এক্স পরিবারের মার্কিন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা
যশোরে পরিবহনের ঘুমিয়ে থাকা হেলপারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, চালক-সুপারভাইজার পুলিশ হেফাজতে
যশোরে আইন কর্মকর্তা জিপি ও পিপি নিয়োগ
"৯৭ তম অস্কারের হোস্ট হিসেবে ঘোষণা করা হলো কনান ও ব্রায়েনের নাম"
লক্ষ্মীপুরে ন্যায্যমূল্যের সবজির বাজারে ভোক্তাদের ভিড়
হঠাৎ কুয়াশায় থমকে গেছে চিলমারীর জনজীবন
কাপ্তাই আষ্ট্রিম জেটিঘাট সাপ্তাহিক হাট পাহাড়ি- বাঙালীর সম্প্রীতির মিলন মেলা
বেহাতের পথে ২০ কোটি টাকার জমি : নৈপথ্যে আ'লীগের দোসর সিন্ডিকেট
নোয়াখালীতে ছাগল চুরিতে ধরা পড়ে গণপিটুনির শিকার দুই কিশোর গ্যাং সদস্যকে পুলিশে সোপর্দ
ভারতে 'বুলডোজার বিচার' অবৈধ ঘোষণা করে রায় প্রদান
বাসা যেন টাকার খনি!, কলকাতায় টাকা গোনা হয় মেশিন বসিয়ে
‘আনসার লীগের পর এবার আহত লীগের খপ্পড়ে সরকার’ : হাসনাত-সারজিস
হিমালয়ের কাছে হওয়ায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা নামলো ১৬ ডিগ্রিতে
লাতিন আমেরিকায় চীনের নতুন মেগাপোর্ট উদ্বোধন ,সতর্ক দৃষ্টি যুক্তরাষ্ট্রের
আগামীর বাংলাদেশ ‘ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা’র
কুষ্টিয়ায় শেখ কামালের নাম সরিয়ে হচ্ছে ‘আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম’
বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের মৃত্যু : কাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ
নির্মাতা চকোলেটে ওষুধ মিশিয়ে সর্বনাশ করতে চেয়েছিল অভিনেত্রী শাহনাজ সুমির